The Diving Bell And The Butterfly (1998) - Plot & Excerpts
‘ডাইভিং বেল’ হলো ডুবুরীদের সমুদ্রের গভীরে পাঠাবার বিশেষ এক ব্যবস্থা। বাতাসকে কাজে লাগিয়ে অত্যন্ত সরল এই যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু সম্ভবত অ্যারিস্টটল এর সময়কাল থেকে। ছোটবেলায় গোসল করতে গেলে প্রায়ই একটা খেলা খেলতাম। মগের ভেতর শুকনো গামছা দলা পাকিয়ে ভরে মগটিকে উপুড় করে বালতির পানিতে চাপ দিয়ে দিয়ে ভেতরে ঠেলতাম। মগের পুরোটাই পানির তলায় চলে গেলেও ভেতরের গামছায় পানির স্পর্শও লাগতোনা, কারণ মগের ভেতরের বাতাস পানিকে ভেতরে ঢুকতে দেয়না। এই একই কার্যপ্রনালী ব্যবহার করেই ডাইভিং বেল তৈরী করা। ঘন্টা আকৃতির নিচের দিকে খোলা এই যন্ত্রতে করে ডুবুরীদের নামিয়ে দেয়া হতো গভীর পানিতে। গন্তব্যে পৌঁছাবার আগ পর্যন্ত ডুবুরীকে ডাইভিং বেল এর ভেতরে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো (চিত্র দ্রষ্টব্য):ছোট্ট একটু সময়ের জন্য এক-দুজন মাত্র ডুবুরী বয়ে নিতে হতো বলে আগেকার যুগের ডাইভিং বেলগুলোর আয়তন খুব বেশী হতোনা, তাই ভেতরের সঞ্চিত বাতাসের পরিমাণও খুব সামান্যই হতো। জানালাবিহীন, অন্ধকার, বদ্ধ খুব ছোট একটি খোলস, যেখানে প্রতি নিঃশ্বাসের সাথে সাথে অক্সিজেন কমে আসছে, সেখানে অল্প কিছুক্ষণ সময় কাটানোটাই কত কষ্টকর হতে পারে মনে মনে তার মোটামুটি একটি ধারণা আমরা বোধহয় করতে পারি। নিতান্ত পেশা বলেই ডুবুরীদের এই যন্ত্রের ভেতর বসে থাকতে হতো, তা-না হলে কে আর যেতে চাইবে দম বন্ধ করা অন্ধকার এই কুঠুরির ভেতর? ‘দি ডাইভিং বেল অ্যান্ড দি বাটারফ্লাই’ হলো এমনই এক অন্ধ কুঠুরির ভেতর আটকে পড়া একজন মানুষের স্মৃতিকথা। তবে, এ ক্ষেত্রে, ডাইভিং বেল শুধুই একটি রূপক। স্মৃতিকথার লেখক জাঁ দমিনিক বোবি আটকা পড়েছিলেন তাঁর নিজের শরীরের ভেতর, দারুণ দুরারোগ্য এক রোগে আক্রান্ত হয়ে। ১৯৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ফরাসী ফ্যাশন মাগাজিন ‘এলে’র সম্পাদক বোবি হঠাৎ এক ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। বেখ সুখ মেখ (Berck-Sur-Mer) হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর বোবি আবিষ্কার করেন কি ভয়ানক এক অভিশাপ নেমে এসেছে তাঁর ওপর। বিরল যে রোগটিতে তিনি আক্রান্ত হন হার্ট অ্যাটাকের পর তার ডাক্তারী নাম ‘লকড ইন সিনড্রোম’ (Locked In Syndrome)। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর মস্তিষ্কের বোধবুদ্ধি শতভাগ সক্রিয় থাকে, অসাড় হয়ে যায় গোটা শরীর। হার্ট অ্যাটাকের বিশ দিন পর হাসপাতালে জেগে উঠে বোবি আবিষ্কার করেন তাঁর শরীরে কোন সাড় নেই, হাত পা নাড়াবার ক্ষমতা নেই, নেই বাকশক্তিও। শুধু দুটি চোখ আর ঘাড়ের সামান্য একটু অংশ সচল। কারো প্রশ্নের কোন জবাব দেবার উপায় তাঁর নেই, নাকের ওপর বসা সামান্য মাছিটাকে তাড়াবার শক্তিও নেই, শুয়ে শুয়ে কেবল চোখ দুটো দিয়ে যতদূর দেখা যায় ততটুকু দেখা। এই সুখও খুব বেশীদিন সইলোনা। ইনফেকশন হবার ভয়ে ডাক্তার তাঁর ডান চোখ সেলাই করে দেন। বহির্বিশ্বের সাথে বোবির যোগাযোগের একমাত্র উপায় এখন তাঁর বাম চোখ। এই বাম চোখ দিয়েই বোবি তাঁর ১৩০ পৃষ্ঠার স্মৃতিকথা লিখেন হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে!রোমান অক্ষর ব্যবহার করা ভাষাগুলোর (যেমন ইংরেজী, ফরাসী, জার্মান, ইতালিয়ান ইত্যাদি) একটি মজার ব্যাপার আছে। ভাষাগুলোর যার যার ব্যবহারের প্রেক্ষিতে অক্ষরগুলোকে ব্যবহারের ক্রম অনুযায়ী সাজানো যায়, অর্থাৎ, সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত অক্ষরটি থেকে সবচেয়ে কম ব্যবহৃত অক্ষর পর্যন্ত একটি তালিকা তৈরী করা যায়। ইংরেজীতে এটিকে ‘লেটার ফ্রিকোয়েন্সি’ বলে (যাঁরা এডগার অ্যালান পো’র ‘দি গোল্ড বাগ’ পড়েছেন তাঁদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার, এবং এটুকু পড়ে তাঁরা হয়তো মনে মনে হাসছেন! হেমেন্দ্রকুমার রায় এই গোল্ড বাগের ছায়া অবলম্বনেই ‘যখের ধন’ লেখেন)। ফরাসী ভাষায় ব্যবহারের ক্রম অনুযায়ী অক্ষরগুলোর তালিকাটা এরকমঃ ESARINTULOMDPCFBVHGJQZYXKWবাকশক্তি রহিত বোবিকে বেশীর ভাগ সময় হ্যাঁ অথবা না বাচক প্রশ্ন করতে হতো, যার জবাব তিনি চোখ টিপে দিতেন। একবার চোখ টিপলে ‘হ্যাঁ’, দুবার টিপলে ‘না’। বোবির সামনে তাঁর স্মৃতিকথার লেখিকা ক্লদ মেঁদিবিল লেটার ফ্রিকোয়েন্সির ওপরের তালিকাটা নিয়ে বসতেন এবং এক এক করে অক্ষরগুলো পড়ে যেতেন। যখনই বোবির চাহিদামাফিক শব্দটি আসত, বোবি চোখ টিপে বোঝাতেন। এভাবে এক একটি করে অক্ষর দিয়ে দিয়ে একটি শব্দ তৈরী হতো। এ কায়দায় একটি শব্দ লিখতে গড়ে দু মিনিট সময় লাগতো! বোবি প্রতিদিন গড়ে চার ঘন্টা ‘ডিকটেশন’ দিতেন। ধীরে ধীরে দশ মাসের অসামান্য পরিশ্রমের পর অবশেষে বইটি লেখা শেষ করেন বোবি। গোটা বইটি লেখার ডিকটেশন দিতে বোবিকে মোটামুটি দু লক্ষ বার চোখ টিপতে হয়েছে। লকড-ইন সিনড্রোম নিয়ে জানবার পর প্রথম যে কথাটি আমার মনে হয়েছিলো, আমি যদি এই রোগে আক্রান্ত হই, আমি কি আর বই পড়তে পারবোনা? কক্ষনো কিছু লিখতে পারবোনা? ছবি দেখতে পারবোনা? প্রিয় মানুষগুলোকে ছুঁয়ে দেখতে পারবোনা? জাগতিক বিষয়ে তাঁদের সাথে নানা কুতর্কে জড়াতে পারবোনা? শিক্ষার একধরণের কুফল আছে, মানুষকে এটি অতিরিক্ত কৌতূহলী করে তোলে, জানতে চাইবার জন্য মনকে ছটফট করায়। আমি জানিনা অক্ষরজ্ঞানহীন কেউ এ রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন হবে; আমার কেবলি মনে হয়, তাঁর জন্য কষ্টটা হয়তো তুলনামূলক কম হবে, হতে পারে এটি আমার হঠকারী একটি চিন্তা-শিক্ষিত/অশিক্ষিত ভেদে যেই হোন, কষ্টটা তো মানুষই ভোগ করবে-তবুও মনের কোনায় অন্ধ এক বিশ্বাস বাস করে, জগতের বেশীরভাগটাই দেখা হলোনা, জানা হলোনা এটি যিনি জানেন, তাঁর আফসোস আর অসহায়ত্বটাই বেশী। শিল্প সাহিত্যের সমঝদার জাতি হিসেবে ফরাসীদের খ্যাতি দুনিয়াজোড়া। ফরাসী বোবি তাঁর বইয়ে সে প্রমাণ রেখেছেন। আকাশজোড়া অবসর সময় কাটাতে বোবি স্মরণ করেছেন তাঁর অসংখ্য প্রিয় চলচ্চিত্র আর বইকে। সমুদ্রের বালুকাবেলার দিকে তাকিয়ে জাঁ লুক গদা আর অরসন ওয়েলস এর চলচ্চিত্রগুলোর শুটিং চালিয়েছেন মনে মনে। আফসোস করেছেন সামনেই পড়ে থাকা এমিল জোলার বইটি পড়তে না পেরে। নিজের অবস্থা বর্ণনায় ব্যবহার করেছেন অভিজাত কাব্যিকতা। যে চমৎকার সেন্স অফ হিউমার এর পরিচয় এই বইয়ে দিয়েছেন বোবি, তাতে করে সংবেদনশীল পাঠকের জন্য এতো বুদ্ধিদীপ্ত একজন মানুষের এই পরিণতি মেনে নেয়াটা কিছুটা কষ্টকর-ই হবে। অনেকেই হয়তো মৃত্যুই কামনা করবেন এ অবস্থায়, বোবি তা চাননি। শারীরিক ভাবে বোবি আটকা পড়েছিলেন তাঁর পক্ষাঘাতগ্রস্ত শরীরের ডাইভিং বেলে, কিন্তু মন ছিলো তাঁর প্রজাপতির মতোই অস্থির, তা ছুটে বেড়িয়েছে বোবির ৪৩ বছরের সঞ্চিত অগণিত স্মৃতির পাতাগুলোয়। জাঁ দমিনিক বোবির স্মৃতিকথা প্রকাশের পরপর প্রচন্ড সাড়া ফেলে দেয়, তবে বোবি এ সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। বইটি প্রকাশের দু’দিন পরই, ১৯৯৭ সালের ৯ মার্চ বোবির ইহজগতের কষ্টের শেষ হয় আকস্মিক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। আমাদের অনেকেরই স্লিপ প্যারালাইসিস এর ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আছে, বাংলায় যাকে বলে ‘বোবায় ধরা’। ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠে আবিষ্কার করা শরীর অচল হয়ে আছে, জিভ নাড়াবার উপায় নেই, শুধু গলার ভেতরের এক ধরণের অসহায় গোঁ গোঁ আওয়াজ জানিয়ে দেয় ‘বেঁচে আছি’। কি নিঃসীম শূণ্যতা আর শীতল আতঙ্ক, সেই বেঁচে থাকার অনুভূতিতে! স্লিপ প্যারালাইসিস এর গড় সময়কাল মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড। যাঁদের এ অভিজ্ঞতা আছে কেবল তাঁরাই হয়তো কিছুটা বুঝবেন বিশ দিন পর জেগে উঠে প্রথম ধাক্কাটা সামলাতে বোবির কেমন লেগেছে, কেমন লেগেছে অথর্ব ভাবে এই দেড়টা বছর বেঁচে থাকাটা। পুনশ্চঃ লকড-ইন সিনড্রোম নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে অন্য আরেকটি ঘটনার কথা জানলাম। কিছুটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, তবে একেবারে অপ্রাসঙ্গিক সম্ভবত নয়। ১৯৭৩ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে ভারতীয় নার্স অরুণা সেনবাগ তাঁর হাসপাতালের আর্দালি দ্বারা আক্রান্ত হন। আর্দালি তাঁকে কুকুর বাঁধার শিকল দিয়ে শ্বাসরোধ করে পায়ুপথে ধর্ষণ করে। অরুণা কোমায় চলে গিয়েছিলেন, বেয়াল্লিশ বছরেও যা ভাঙ্গেনি। ২০১১ সালে অরুণা ৬৬ বছর বয়েসে মারা যান। অরুণার পক্ষে আবেদন করা হয়েছিলো তাঁকে ‘শান্তিপূর্ন মৃত্যু’র অনুমতি দেয়া হোক। আদালত তা খারিজ করে দেয়। অরুণার ধর্ষণকারীর ৭ বছরের জেল হয়েছিলো ডাকাতির অভিযোগে, ধর্ষণের বিষয়টি আদৌ আদালতে আসেনি, কারণ ১৯৭৩ সালের ভারতীয় আইনে পায়ুপথে ধর্ষণ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিলোনা! আমি নিশ্চিত হতে পারছিনা কোন বিষয়টি অধিকতর নিষ্ঠুর, অরুণা’র ধর্ষণ, নাকি তাঁকে ৪২ বছর ‘ভেজিটেবল’ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখা নাকি আইনের জটিল মারপ্যাঁচ?
Many authors say they agonize over each word they write, but in dictating The Diving Bell and the Butterfly to an assistant with nothing but his left eye and her willingness to repeat a frequency-ordered alphabet until he blinked at the correct letter—a process that took, on average, two minutes per word, culminating in four hours a day for a total writing period of ten months, with no room to edit after it left his head—I’d say journalist Jean-Dominique Bauby has them beat.Up until December 6th, 1995, Bauby was the editor-in-chief of Elle magazine, but a debilitating stroke shot him into a coma for 20 days, and when he awoke, he was left completely paralyzed (save for minimal movement in his neck and eyes [though his right eyelid was later sewn shut]) and unable to speak. The Diving Bell and the Butterfly chronicled both his new life with locked-in syndrome (or as he called it, his diving bell, where his mind, a butterfly, still roamed free) and what his life was like before. The book reads more like a series of (obviously) short vignettes than a standard memoir, with much of Bauby’s life—his childhood, his success at work—barely blipping the map. Though the jacket files the book under ‘inspiration,’ I’d say the idea is more inspiring than the content. Bauby, by his own admission, was a man more interested in sports cars, culture and working seven days a week than spending time with his wife (from whom he later separated) and kids. If the stroke hadn’t occurred, he might be type of celebrity blowing through marriages and millions, but he did have the stroke, and this is what he chose to blink out in his final months, the published version hitting a mere two days before he died from pneumonia.Bauby’s voice is calm and even and he doesn’t try to paint himself sympathetically. He reflects on his kids, his father, lovers he had. He expresses frustration with the hospital staff for their lack of care, bewilderment over people talking about him being a vegetable, and he often daydreams of the things he would like to do again. By far, my favorite section is “The Dream” – a passage that reflects on the dream he had right before waking up from his coma. Before then, Bauby never remembered his dreams, but upon realizing that he never really woke back up, Bauby understands why it stuck, and the calm horror of that scene breaks any rule I could have about never including a dream sequence. The longest section of the book, “Our Very Own Madonna,” about Bauby’s vacation with a lover, is another strong section, especially as it notes some of the disparaging views and opinions he had before his stroke. Not every section in The Diving Bell and the Butterfly is good, and the power of idea is still more inspiring than the end result, but again, this is what Bauby wanted to say when his world was reduced to a hospital bed, and I’m glad I was able to listen in. Three stars.
What do You think about The Diving Bell And The Butterfly (1998)?
Words flow like the images and emotions of poetry. One thought leads to another. The rambling mind touches like a butterfly, just long enough to draw the essence from a story, and then moves fluidly to another. Jean-Dominique Bauby's body was an immobile weighty shell; the diving bell his perfect simile. Yet in his head he roved the world and composed the words that would let us in. Intent on looking for the cure to let him move again, he moves forward in his final words "We must keep looking. I'll be off now", and six months later he was dead.
—Petra X
this is quite an achievement .the writer a quadraplegic with locked in syndrome who died shortly after the publication of this book mangages to make himself into a totally unsympathetic character .i really disliked this book i suppose because it has gained such an good reputation . this is mis-lit at its worst . the author is completely self obsessed perhaps unsurprisingly and the profundity is not much above that found in a Hallmark card . it seems that the things the author misses most are his trips to Hong Kong , his BMW , his phone calls to important people and generally the go-go life of a magazine editor . one of the worst chapters is when he describes his selfishness towards his girlfriend or wife and manages to turn it into a piece of self glorification . she loves him anyway because he is such a brilliant and incorrible man . well so he thinks . the smugness is unbelievable .it is all very pollyanerish and trite really . his realationship with his children and their mother seems superficial and distant .with the recent revelations about false memoirs in this mis-lit genre i am very suspicious as to how much of the writer's story is true and how much of it was written by someone else . he supposedly set up an organisation to support those with locked in syndrome , just as Bob Geldof has supposedly saved the world .the Guardian said " everyone in the country should own at least one copy " . why would anyone want more than one copy . I only own one copy of " The waste land " , so why should i or anyone buy 2 copies of this rubbish ?Like many books the marketing story is more important than the book itself .Harsh but fair !
—Alistair
Suppose a book, written in near-impossible circumstances and universally praised ever since, disappointed you, left you unsatisfied? Would that tell you much about the book itself, or more about you its reader?First the facts. In 1995 Jean-Dominique Bauby, editor-in-chief of the magazine Elle, suffered a massive stroke which even a decade earlier would have killed him. Not now though - today medical science can keep you alive...after a fashion. His brain-stem irreparably damaged, the result was locked-in syndrome: gradually emerging from a deep coma weeks later, Bauby found himself in a hospital bed, conscious but trapped inside his own inert body. It is a condition which evokes the same horror as Edgar Allan Poe's Premature Burial - waking to find yourself buried alive - and explains this book's title: the paralysed body as a diving bell, a mere rigid container, and trapped within it, fluttering against its windows, the zigzagging butterfly of his mind.In fact, locked-in syndrome varies in its severity; Bauby was able to blink his left eyelid and, with time, learned to move his head. And it was with this single eyelid that, after six months in this condition, he began to dictate his book to Claude Mendibil, a freelance editor - composing and memorising paragraphs of text every morning, then spelling them out one letter of the alphabet at a time. Le Scaphandre Et Le Papillon is an account, in twenty-nine short chapters, of the hospital at Berck-sur-mer and his own helpless condition there, memories of his former life, fantasies and even an occasional joke. It's beautifully written, very moving - and all the while, of course, you are reminding yourself of just how it was written; rarely can a book have been drafted in such extremis. And yet...I still came away disappointed.I guess different readers will see different things in it. A purely practical mind will wonder about the technology, and whether keeping people alive in such circumstances really is a medical advance or not. Bauby was lucky in one respect at least: able to blink, the outside world realised immediately that he was fully conscious; yet you can't help but picture others, less fortunate, no less conscious but fully "locked-in" and assumed to be insentient, who lie alone and (in Bauby's own appalling phrase) "...abandoned to a vegetable existence..."A humanitarian might be spurred into action, into helping these abandoned ones (Bauby himself, in the last year of his life, set up the Association du Locked-In Syndrome from his own hospital bed).A moralist, on the other hand, might try to connect Bauby's former life - his love of rich food, wine, good living - with his subsequent "punishment" (unable even to swallow, he is fed sludge through a tube).A philosopher might go deeper and see Bauby's predicament as a metaphor: for the hugely restricted lives we are all forced to lead as members of society.And there will be some who, while impressed by the prose and sheer courage of its author, still put the book down disappointed. Is that our fault as readers, were we expecting too much, expecting a glimpse of a living hell - only to find that it wasn't? Or were we looking for something a lot more profound which the book couldn't live up to? Moreover, should we feel guilty about having such thoughts (could I have written, well, anything at all in those circumstances?)So we are left wondering what prompts us to take a book like this (or books about prison camps, disasters, madness) down from the bookshop shelf in the first place. Pure curiosity, to see what locked-in syndrome looks like from the inside? But if it's only curiosity, why would the book disappoint you? Voyeurism then, a modern version of the carnival freak-show? Or is it inspiration, watching as someone battles almost unimaginable odds? And thus it is, finally, a book which leads you to question your own motives and very character.
—Richard