গল্পের শুরু হয় ১৯২৩ সালে, জার্মানিতে। ওয়ারডেনব্রাক নামের একটি ছোট্ট শহরে। সে সময় মুদ্রাস্ফীতির দারুণ অভিশাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে জার্মানির জনগণ। এক ডলারের দাম হয়েছে ছত্রিশ হাজার মার্ক, আর সে দাম বেড়েই চলেছে প্রত্যেক ঘন্টায়! গল্পের প্রধান চরিত্র লাডউইগ বডমার নামের এক তরুণ, সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করেছে, বয়স তার বিশের কোঠায়। লাডউইগ কাজ করে এক কবরফলক তৈরির দোকানে, দোকানের মালিক তার অভিন্নহৃদয় বন্ধু জর্জ। এনিয়ে সে হীনমন্যতায়ও ভোগে, সে মনে করে মানুষের মৃত্যুর সুযোগ নেয় তারা। লাডুইগ ব্যবসায়ী হলেও তার মনটা নরম, গোপনে সে কবিতা লেখে, আর গির্জার উন্মাদ আশ্রমে রবিবার অরগান বাজায়, কারণ রবিবার গির্জায় ভালো নাস্তা পাওয়া যায়!এভাবেই শুরু হয় এরিক মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস “দ্য ব্ল্যাক অবেলিস্ক”। রেমার্কের লেখা প্রতিটি উপন্যাসই ক্লাসিকের মর্যাদাপ্রাপ্ত। যুদ্ধের ময়দানের প্রত্যক্ষ চিত্র, সৈনিকদের মানসিকতা, দুঃখ, আনন্দ, ভালবাসা- সবই চমৎকার উঠে আসে তাঁর কলমে। রেমার্ক নিজে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক ছিলেন, যুদ্ধকে দেখেছিলেন খুব কাছ থেকে, সঠিকভাবে। সেভাবেই তিনি তাঁর গল্পগুলো তৈরি করেন। যুদ্ধ-পরবর্তী বাস্তবতা নিয়ে তাঁর মত কাজ করেছেন খুব কম শিল্পীই। “দ্য ব্ল্যাক অবেলিস্ক”-ও তাঁর এ ধারার এক অনন্য সৃষ্টি হয়ে থাকবে।উন্মাদ আশ্রমের ডাক্তার ওয়ারনিক এর সাথে ভালো বন্ধুত্ব আছে লাডউইগের, ওয়ারনিক তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন জেনেভিব টরোভান নামে এক তরুণীর সাথে। জেনেভিব সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত, সে নিজেকে ‘ইসাবেল’ মনে করে। লাডুইগকে সে ডাকে ‘রুডলফ’ নামে। ধীরে ধীরে লাডুইগ রুডলফ হয়ে ‘ইসাবেল’ এর প্রেমে পড়ে যায়...রেমার্ক খুব নিপুণতার সাথে এ উপন্যাসে যুদ্ধফেরত সৈনিকদের প্রকৃত অবস্থা বলেছেন। তারা এই সমাজের সাথে মিশে যেতে পারেনা। স্বাভাবিক জীবনকে তারা ভয় পায়, আবার ঘৃণাও করে। সবচে বেশি দুর্ভোগ থাকে আহত সৈন্যদের ভাগ্যে। সরকার তাদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করেছে ঠিকই, কিন্তু মূল্যস্ফীতির অভিশাপে দুতিনদিন পর সে টাকা যখন তাদের হাতে আসে তখন তার আর কোন মূল্যই থাকে না।১৯২৩ সালের জার্মানি তখন তাদের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, আর এরই মাঝে জার্মানদের চোখে নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে আবির্ভূত হন এক নেতা, অ্যাডলফ হিটলার। জনে জনে জাতীয়তাবাদীরা তার ভক্ত হতে থাকে।লাডউইগের ভাগ্যের পরিবর্তন হল হঠাৎ-ই। বার্লিনের এক পত্রিকা অফিসে ওর চাকরি হয়ে যায়। লাডউইগ বডমার চলে যায় ওয়ারডেনব্রাক ছেড়ে, ওর প্রিয় বন্ধু জর্জকে ছেড়ে, ইসাবেলকে ছেড়ে। ইসাবেল অবশ্য ততদিনে আবার জেনেভিব হয়ে গিয়েছে। ও লাডউইগকে চিনতেও ও পারেনা।পত্রিকা অফিসে ওর বেশ উন্নতি হয়, আর এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধের পর, লাডউইগ আবার যায় ওর শহরে, ওয়ার্ডেনব্রাকে। ওয়ার্ডেনব্রাকে ও ফেরে দীর্ঘ সতের বছর পর... পরিচিত মুখগুলোর কোনটাই আর ওর চোখে পড়ে না। ওয়ার্ডেনব্রাক এখন যুদ্ধে বিদ্ধস্ত, মৃত এক শহর। ও জানতে পারে ওর প্রাণের বন্ধু জর্জ যুদ্ধে মারা পড়েছে নাৎসিদের হাতে, পাগলাগারদের ডাক্তার ওয়ারনিক নিখোঁজ, জেনেভিব ওরফে ইসাবেলের খোঁজ কেউ জানে না। ও আবিষ্কার করে ওয়ার্ডেনব্রাকের কিছুই আর আগের মত নেই। শুধু একটুও বদলায়নি কবরস্থানটা। ও শুধু চিনতে পারে এক কালো বিশাল সমাধিফলক, অনেকদিন আগে ও আর জর্জ মিলে বিক্রি করেছিল ওটা। ওই ব্ল্যাক অবিলিস্কই মাথা উঁচু করে থেকে মৃতদের শহর ওয়ার্ডেনব্রাকের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে যেন...বইটা আমি পড়েছি সেবার সংস্করণে, শেখ আব্দুল হাকিমের অনুবাদে। আব্দুল হাকিম যথারীতি ভালো অনুবাদ করেছেন। অনেকদিন মনে থাকবে এরিক মারিয়া রেমার্কের “দ্য ব্ল্যাক অবেলিস্ক”, যুদ্ধের পরের যুদ্ধের গল্প...
Audioknyga. 1985 metais “Lietuvos aklųjų draugijos garso įrašų namų” darytas įrašas, skaitomas Antano Gadeckio. Įgarsinimas ir skaitymas geresni, negu prieš tai buvusi Skomanto serija. Puikiai atskleista laikmečio dvasia. Vokietijoje, tarpukario metais, sklando neįsivaizduojamos infliacijos šmėkla. Žmonių santaupos, darbai, gyvenimai žlunga. Kyla naujas karo vadas, ir sekančio karp pranašas. Visoje šioje košėje stengiasi gyventi ir išgyventi paprasti žmonės. Visgi niūrų vaizdą sklaido smagūs bei juokingi pokalbiai, meilės kančios ir stiprūs personažų charakteriai. Autorius priešprieša stato tikėjimą dievu ir netikėjimą juo. Karo žaizdos ir esama padėtis daugeliui galutinai pradangino krikščionybės peršamas vertybes ar melus, kitiems priešingai - sustiprino tikėjimą. Pagrindinis veikėjas - Liudvigas, I-ojo pasaulinio karo veteranas, 25 metų amžiaus. Jis dirba paminklų pardavėju. Apie jį, jo meiles. kaimynus bei draugus ir sukasi visa knyga. Liudvigas bando susigrąžinti prarastą laiką karo metais, tačiau jis jau nebe tas pats žmogus. Liudvigas yra įsimylėjęs psichinę ligonę Izabelę, tiksliau jos išprotėjusį variantą. Jos beprotiškos mintys atrodo nebe tokios ir beprotiškos kai palygini jas su aplinkiniu pasauliu. Taip pat Liudvigas draugauja su Gerda - pragmatiška akrobate. Galiausiai Liudvigas supranta, kad jam ne vieta mažame kaime, ir pirmai progai pasitaikius išsikelia į didmiestį. Kas blogai? Įsitikinau, kad gilią prasmę turinčias bei susikaupimo reikalaujančias knygas geriau skaityti, negu klausytis įrašo.Kas gerai? Knyga puikiai tinka ir yra aktuali daliai šiuolaikinės Lietuvos žmonių, kurie pagal Remarką irgi pamiršo žodžius “todėl, kad”. Gaila, kad ta dalis ko gero niekada neskaitys šios knygos :)Įvertinimas. 4/5.
What do You think about The Black Obelisk (1998)?
Despite Remarque's flawless sarcasm and sense of humor, his books are never an easy read. Only when reading Remarque one gets an irresistible urge to google "How to stop being afraid of death?"This book tells a story about a young guy who survived WW1. He spent his youth at war and thus did not get to ask himself all the questions young people ask themselves.There are two sides to this story. The first one tells about Ludwig's everyday life, describes the people he meets in the most hilarious ways, but the point is that this side of the story is aimed at making the reader feel how pointless those daily routines are, how insignificant it all is compared to the second side of the story. Now this part tells one of the oddest love stories I have read about. Ludwig falls for an insane woman, literally insane - she spends her days at a madhouse. At first she really does seem crazy, but as you read, you see more reason in her words and actions than in those of other Werdenbrück town inhabitants.The Black Obelisk is a fount of quotes and a well of irony, but then it also introduces the reader to the consequences of war by describing people who have gone mad because of it, people who no longer fit into reality. Remarque managed to get us into the atmosphere of post-WW1 Germany, he let the reader understand the birth of Nazism there, showed us that there could be no other way for these people back then. It really did seem to be the right philosophy to choose after you've fought for a country whose economy just collapsed and left all veterans with nothing but hatred towards all nations supposedly guilty of their despair.I have not read many Remarque's works, but I'd definitely suggest reading this one to everyone. It will be a slow read, a thought-provoking one, sometimes funny, sometimes depressing, but it'll plunge you in the early 1920s German mood for sure.
—Victoria
The main character is a young man who has lost his youth in the WWI. He is contemplating on what is the meaning and purpose of life. Why do people need wars? Why does God let them happen? He is on the journey to finding how to move on in his life. Many characters in the book portray different visions of life. Nobody really knows what is the meaning of life, everybody lives it by rules of their own. The book doesn't give any answers, it just follows the journey of a young man who in times of great difficulty is trying to figure out what it is that is worth living for. I recommend this book to everybody who is also on the journey of finding your way in life, just to see how the main character is contemplating on things. Also this book is a bit different in vibe from The Arch of Triumph or Night in Lisbon. In those books the main characters are older than the main character of The Black Obelisk. I enjoyed reading this book a lot. It is pretty short as well.
—Kristiina
The plot is clear and the writing style flows nicely, therefore, the book can easily be read in just one large sitting, however, the lack of emphasis on the point in the story is quite an distraction. I had a good time hoping for something to pop out of the pages, but it just didn't materialize (I guess 'the big love story' did not dig too deep into its essence as Ludwig was way too distant from his love to Izzabel in his everyday affairs for me). I will still try Remarque after this one as he describes the landscapes in a great, detailed and superbly entertaining manner, just after some break.
—Giedrius Padriezas